একদিনের মধ্যে বরগুনার বাজারে বেগুনের দাম দ্বিগুণ হয়েছে। শনিবার (২ এপ্রিল) যে বেগুন বিক্রি হয়েছে ৪০ টাকা কেজি, সেই বেগুন আজ রোববার (৩ এপ্রিল) বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকা।
ক্রেতারা বলছেন, রমজানে ইফতারিতে বেগুনির চাহিদা থাকায় সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়েছে ব্যবসায়ীরা।
খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, হঠাৎ চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দাম বাড়িয়েছে পাইকাররা। তবে পাইকাররা দায় চাপাচ্ছেন খুচরা বিক্রেতাদের উপর।
শনিবার (২ এপ্রিল) বরগুনার জেলা শহরের কাঁচা বাজারে প্রতিকেজি বেগুন বিক্রি হয়েছে ৪০ টাকা দরে। আজ রোববার (৩ এপ্রিল) সকালে সেই বেগুনের দাম ৮০-৯০ টাকা। বাজারে প্রচুর বেগুন থাকার পরও দ্বিগুণ দাম হাঁকিয়ে বিক্রি করছেন খুচরা বিক্রেতারা।
বেগুন কিনতে আসা আমিনুল হক সুজন বলেন, রমজানের শুরুতে প্রতি বছর সবজির দাম বাড়ে। ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণে দাম বেড়েছে। গতকাল এই বেগুন বিক্রি হয়েছে ৪০ টাকায়। আজ শশা বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ১০ টাকা বাড়িয়ে ৪০ টাকায়।
আরেক ক্রেতা ওলিউল ইসলাম রাইজিংবিডিকে বলেন, পৃথিবীর অনেক দেশ রমজান উপলক্ষে সব কিছুর দাম কমায়। কিন্তু এ দেশের ব্যবসায়ীরা তার উল্টো। আলুর দাম কেজিতে ২ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৮ টাকায়। পটল বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা বেড়ে ৬৫ টাকায়। মিষ্টি কুমড়া কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়।
বরগুনা জেলা শহর কাঁচা বাজার সমিতির সভাপতি মো. আল আমিন হাওলাদার বলেন, ‘রোজার শুরুতে সব কিছুর দাম বেড়ে যায়। দাম বাড়ানো বা কমানো সবটাই নির্ভর করে পাইকারি বিক্রেতাদের উপর। তারা দাম বাড়ালে আমাদের কিছু করার থাকে না।’
নাগরিক সেবা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফ হোসেন রাইজিংবিডিকে বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে মনিটরিং কমিটি ব্যবস্থা নেয় না। সেই কারণে ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমতো দাম বাড়িয়ে সব পণ্য বিক্রি করছে। ক্রেতারা অসহায়, ক্রেতারা জিম্মি।
এ বিষয়ে বরগুনার জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান রাইজিংবিডিকে বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসন মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবে। রমজানে সব পণ্যের দাম ঠিক রাখতে বাজার মনিটরিং কমিটিও কাজ করে যাচ্ছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।